চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ায় কঠিন সমীকরণ নিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে রোববার দুপুর তিনটায় মাঠে নামবে পাকিস্তান। নিরপেক্ষ ভেন্যু দুবাই ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রায় দেড় বছর পর ওয়ানডে ফরম্যাটে দেখা হচ্ছে দু’দলের। সেমিফাইনালে উঠতে হলে ভারতকে হারাতেই হবে বাবরদের।
৮ মাস ১৩ দিন পর দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মুখোমুখি। শেষবার নিউইয়র্কে স্নায়ু চাপে পাকিস্তান হেরেছিল ৬ রানে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বদলা চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিতে নিশ্চয়ই মুখিয়ে ম্যান ইন গ্রিন। অন্যথায় টুর্নামেন্টও শেষ হয়ে যেতে পারে আয়োজক পাকিস্তানের।
ভারতের কাছেও বদলার ম্যাচ। ৮ বছর আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে রোহিত-বিরাটদের কাঁদিয়ে শিরোপা উৎসবে মেতেছিল পাকিস্তান। সেই ম্যাচের হিরো ফখর জামান অবশ্য ইনজুরিতে পড়ে আসর থেকে ছিটকে গেছেন। বিকল্প ইমাম-উল-হক যোগ দিয়েছেন। স্কোয়াডে উসমান খান থাকলেও করাচির একাদশে তাকে রাখা হয়নি। অধিনায়ক রিজওয়ানের সঙ্গে বাবর আজমকে হতে হবে দায়িত্বশীল। তবে আধুনিক ক্রিকেটের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না মেন ইন গ্রিন।
কন্ডিশন বিবেচনায় সালমান আগা ও খুশদিল শাহ'র সঙ্গে আরও একজন স্পিনারের প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু পেস নির্ভর পাকিস্তান সে ফর্মুলা বেছে নেবে কী? পাওয়ার প্লেতে নাসিম শাহ ও শাহিন আফ্রিদির দিকে তাকিয়ে থাকে দল। এ জুটি উইকেট নিতে না পারলে বাড়তি চাপে পড়ে বোলিং ইউনিট।
টিম ইন্ডিয়া নামবে জয়ের আত্মবিশ্বাস সঙ্গী করে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ফের প্রমাণ ভারতের ব্যাটিং গভীরতা। ওপেনার শুভমান গিল সেরা ছন্দে। পেসার মোহাম্মদ শামির সঙ্গে স্পিনার অক্ষর প্যাটেল, কুলদ্বীপ যাদবরা দুবাই স্টেডিয়ামে এক্স ফ্যাক্টর। কোহলি রানে নেই। কিন্তু তাতে কী? রানে ফিরতে কিং কোহলির জন্য এমন ম্যাচ বরাবর আদর্শ। ফের প্রমাণ করতে চাইবেন কেন তিনি বড় ম্যাচের নায়ক।
ওয়ানডেতে সবশেষ ৫ দেখায় চারটিতে জিতেছে ভারত। একটি পরিত্যক্ত। আর পাকিস্তানের শেষ জয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ২০১৭'র ফাইনালে।
প্রথম ম্যাচের পর বিপরীত মেরুতে দু’দল। তারপরও রোমাঞ্চের প্রত্যাশা রাখতে পারে ক্রিকেট বিশ্ব। আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তানের সঙ্গে শক্তিশালী ভারতের লড়াই বলে।