মানিকগঞ্জের সিংগাইরে জুবায়ের অনুসারীরা এক যোগে ৪টি মসজিদে ঢুকে দিল্লি নিজামুদ্দিন মার্কাজের অনুসারী তাবলীগ জামাতের মুসল্লিদের আমলরত অবস্থায় থাকাকালীন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে নিজামুদ্দিন অনুসারী উপজেলা তাবলীগ জামাতের জিম্মাদার সহ কমপক্ষে ৯ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮ থেকে ৯ টার মধ্যে উপজেলার জয়মন্টপ -ভাকুম মাস্টারপাড়া বায়তুর রহমান জামে মসজিদ, খান বানিয়ারা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও সিংগাইর সদর (মারকাজ) বাইতুল মামুর জামে মসজিদে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলাকারী ২৫ থেকে ৩০ জনের দলটি জুবায়ের অনুসারী ও হেফাজত ইসলামের কর্মী সমর্থক বলে দাবী করেছেন আহত নিজামুদ্দিন অনুসারী। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা হামলার নেতৃত্বে থাকা মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, মুফতি আব্দুল্লাহ, মাওলানা হোসেন, ফিরোজ খান, কাঠমিস্ত্রি মিজান, ফজল ও আমিনুরকে চিনতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী তাবলীগ জামায়াতের মুসল্লীরা অভিযোগ করে বলেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তাবলীগের টঙ্গীতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমা ময়দান থেকে সিংগাইর উপজেলার ৪টি মসজিদে দ্বীনের দাওয়াত দেয়ার জন্য আসেন তারা। মুসল্লীরা আরো বলেন, একই দিনে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মসজিদে একাধিক জামাত এবং তাবলীগের সাথীদের উপরে পরিকল্পিতভাবে সিরিজ হামলা চালিয়ে মুসলমাদের সন্ত্রাসী হিসেবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে এমন কর্মসূচি বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে জুবায়ের অনুসারীরা।
আহতরা হচ্ছেন -মাওলানা বশির উদ্দিন, মাহবুব, আলামিন, আমিনুল ইসলাম, মো: কবির হোসেন খান, নাঈম ও নিজামুদ্দিন। আহতদের সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে নিজামুদ্দিন অনুসারী মুসল্লিরা জানান। আহতদের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও দাবি করা হয়।
এদিকে অভিযুক্ত জুবায়ের অনুসারীদের পক্ষ থেকে মাওলানা আশরাফুল ইসলাম হামলা করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যতটুকু শুনেছি এলাকার মুসল্লিরা তাদের মসজিদে থাকতে দিচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে সিংগাইর থানার ওসি মো: জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীরকে একাধিক ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। তবে থানার ডিউটি অফিসারের কাছ থেকে জানা যায়, তাবলীগের দু পক্ষের সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসক বৈঠক করবেন।