দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ না করলে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মশাল মিছিল বের করার নতুন কর্মসূচি দিয়েছেন তাঁরা।
আজ সোমবার বিকেল ৪টার দিকে শিক্ষা ভবনের সামনে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে নতুন এই কর্মসূচি ও আলটিমেটাম দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আদ্রিতা রায়
আদ্রিতা রায় বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকে গণ-অভ্যুত্থানের অংশীদার, গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আমাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে বসে আছেন। কিন্তু তিনি তাঁর দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই। তাই আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে তাঁর ব্যর্থতার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে আগামীকাল (মঙ্গলবার) রাজু ভাস্কর্য থেকে সর্বোচ্চ জনবল নিয়ে মশাল মিছিল বের করব। সেই মিছিল থেকে আমরা আমাদের ৯ দফা বাস্তবায়নের লড়াই বেগবান করব।’
এ সময় তিনি সারা দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে গণপ্রতিরোধ-আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ; সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণ, নারী নিপীড়ন, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বন্ধে পদক্ষেপ; পাহাড়, সমতলসহ সারা দেশে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ও নিপীড়নের সব ঘটনার বিচার নিশ্চিতসহ ৯ দফা দাবি উত্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিশকাত তানিশা।
বাকি দাবিগুলো হলো—প্রয়োজনে আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন; ধর্ষণ ও নারী-নিপীড়ন প্রতিরোধের আইনসমূহে প্রয়োজনীয় যৌক্তিক সংযোজন, বিয়োজন ও সংশোধন; যৌন হয়রানি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার; ধর্ষণের কেস নেওয়া নিয়ে যে থানাগত জটিলতা, তা দূর করা; সাক্ষী সুরক্ষা আইন পুনরায় পর্যালোচনা ও প্রয়োগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমন্বয়ে স্বাধীন যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল কার্যকর করা।
এর আগে বেলা ২টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা। পরে ২টা ৩০ মিনিটের দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণপদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
পদযাত্রাটি টিএসসি, দোয়েল চত্বর হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে আসতে চাইলে বেলা ৩টার দিকে শিক্ষা ভবনের সামনে এলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের পদযাত্রা আটকে দেয়। শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ভবন থেকে সচিবালয় যাওয়ার রাস্তায় অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন বক্তব্য ও স্লোগান দেন।
এর আগে পদযাত্রায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা বলেন, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নতুন এক বাংলাদেশ আশা করা হয়েছিল, কিন্তু সেটি হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে নারীদের বিরুদ্ধে যেসব অপরাধ হচ্ছে, সেই পরিস্থিতিতে ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। ঘরে বসে থাকলেও নিরাপদ বোধ করার সুযোগ নেই। তাই রাজপথে নামা হয়েছে।
বাকি দাবিগুলো হলো—প্রয়োজনে আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন; ধর্ষণ ও নারী-নিপীড়ন প্রতিরোধের আইনসমূহে প্রয়োজনীয় যৌক্তিক সংযোজন, বিয়োজন ও সংশোধন; যৌন হয়রানি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার; ধর্ষণের কেস নেওয়া নিয়ে যে থানাগত জটিলতা, তা দূর করা; সাক্ষী সুরক্ষা আইন পুনরায় পর্যালোচনা ও প্রয়োগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমন্বয়ে স্বাধীন যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল কার্যকর করা।
এর আগে বেলা ২টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা। পরে ২টা ৩০ মিনিটের দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণপদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
পদযাত্রাটি টিএসসি, দোয়েল চত্বর হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে আসতে চাইলে বেলা ৩টার দিকে শিক্ষা ভবনের সামনে এলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের পদযাত্রা আটকে দেয়। শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ভবন থেকে সচিবালয় যাওয়ার রাস্তায় অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন বক্তব্য ও স্লোগান দেন।
এর আগে পদযাত্রায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা বলেন, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নতুন এক বাংলাদেশ আশা করা হয়েছিল, কিন্তু সেটি হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে নারীদের বিরুদ্ধে যেসব অপরাধ হচ্ছে, সেই পরিস্থিতিতে ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। ঘরে বসে থাকলেও নিরাপদ বোধ করার সুযোগ নেই। তাই রাজপথে নামা হয়েছে।
শিক্ষা ভবনের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিহাব উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে ধর্ষণ, ছিনতাইসহ নানা ঘটনায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই। এসব ঘটনা ও পরিস্থিতির দায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এড়াতে পারেন না। তাই আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি।’
এদিকে প্রায় এক ঘণ্টা সচিবালয়ের সামনের সড়ক বন্ধ ছিল। এতে ওই এলাকার আশপাশের সড়কে যান চলাচলে কিছুটা ধীরগতি ছিল। সচিবালয়ের সামনে সড়কে চলাচল করা মানুষ হেঁটে গন্তব্যে গিয়েছেন। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে দিলে সচিবালয়ের সামনের সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম বলেন, সচিবালয়ের সামনে মিছিল সমাবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে। তাই আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে ব্যারিকেড দিয়ে তাঁদেরকে আটকে দেওয়া হয়েছে, সচিবালয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থানের কারণে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ ছিল। তবে বিকল্প রাস্তাগুলো সচল ছিল।